ইন্দুবালা! আমিও যে দারুণ স্মৃতিকাতর! যদিও তার মতো খুলনার কলাপোতা গ্রামের একক স্মৃতি নেই আমার, এর বদলে নবাবগঞ্জ, খুলনা, সুন্দরবন, চট্টগ্রামের অলিগলিতে, গাছে-জঙ্গলে ছড়ানো আমার স্মৃতিরা। আমি এখনো নবাবগঞ্জের সেগুন বাগানের পাতার শনশন আওয়াজ শুনি, সুন্দবনের নদীর ঠান্ডা বাতাস আমার গালে এসে লাগে, শীতের বিকেলে ক্যাম্পাসের বুনো গন্ধ পাই।
ইন্দুবালা ভাতের হোটেল।।
কী ভীষণ ঝিম ধরানো একটা বই!
খাবার নিয়ে আমার তেমন স্মৃতিকাতরতা নেই, কিন্তু এটুক জেনেছি, খাবার কী ভীষণভাবে স্মৃতিতে গেঁথে থাকে। বিয়ের পর প্রতিবার কচুর লতি দিয়ে শুটকি রান্না মুখে দিয়ে হকচকিয়ে যাই। কারণ আমার মস্তিষ্ক জানে, লতি রান্না হয় নারকেল দুধ আর চিংড়ি দিয়ে। এরকম কত অভ্যাস ইন্দুবালা সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলেন ওপারে, কত স্মৃতি, কত স্বপ্ন। সেগুলো আর এপারে ফেরেনি, স্মৃতিরা ফেরে না, স্মৃতিরা উড়ে যায়।